বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত। তার পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের কয়েকজন নেতা বুধবার দুপুর আড়াইটায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এদিকে সিটি নির্বাচনে বিএনপির ঘরানার সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়রের ছেলে কামরুল আহসান রূপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে করেছে দুদক। তার অভিযোগ, হয়রানির উদ্দেশ্যে দুদক তলব করেছিল।

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। দুপুর আড়াইটায় মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আফজালুল করিম, সিনিয়র আইনজীবী কেবিএস আহমেদ কবির, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন এবং মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেনসহ অন্যরা খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রার্থীর উদ্দেশ্যে নানা দিক-নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আফজালুল করিম। নৌকার প্রার্থী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাবেন বলে তিনি জানান।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কামরুল আহসান রূপন বলেন, এক দেশে দুই নিয়ম। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী গণসংযোগ শুরু করেছে। গণমাধ্যমে তার প্রচারণার ছবি প্রকাশ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সরকারের কোনো দপ্তর এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তাকে দুদক দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে সরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। 

এদিকে ইসলামী আন্দোলন এবং জাতীয় পার্টি নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেও তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি এখনও। আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ২৬ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল