ঘূর্ণিঝড় মোখার আশঙ্কায় ফসল তুলতে গলদঘর্ম অবস্থা কুমিল্লার কৃষকদের। মাঠে ১৩ ভাগ ধান নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন তারা। ধান কাটা, মাড়াই, খড় শুকানো, ধান সেদ্ধ, শুকানো ও ভাঙানো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
মঙ্গলবার জেলা ও উপজেলা কৃষি অফিসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরেজমিন উইং চিঠি দিয়েছে। সেখানে ঘূর্ণিঝড় মোখার আশঙ্কায় কৃষকদের ফসল তোলার তাগিদ দিতে বলা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, কুমিল্লায় এ বছর এক লাখ ৬১ হাজার ৪৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। তার মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ৮৭ ভাগ ধান উঠেছে কৃষকের ঘরে। আগামী দুইদিনের মধ্যে ৯৫ ভাগ ধান উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লালমাই উপজেলার রতনপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, আমাদের এলাকার ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। এখন চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানো। আশা করি ঝড়ের আগে ধানগুলো গোলায় তুলতে পারবো।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার কালির বাজার এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার এবং বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার ভূইয়া বলেন, মাঠে ধানের সাথে কিছু ভুট্টা রয়েছে। কৃষকদের বলা হয়েছে, ধান ৮০ ভাগ পাকলে যেন কেটে ফেলে। অন্যথায় ঝড়ে ধানের ক্ষতি হতে পারে।
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, আমাদের উপজেলায় ৯৬ ভাগ বোরো ফসল কাটা শেষ। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে কলা, পেঁপে ও কিছু সবজির।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার পর্যন্ত ৮৭ ভাগ ধান উঠেছে কৃষকের ঘরে। আগামী দুই দিনের মধ্যে ৯৫ ভাগ ধান উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাকি ধান কাঁচা রয়েছে। কুমিল্লায় বাণিজ্যিক আম ও কাঁঠাল চাষ তেমন হয় না। পারিবারিকভাবে কিছু ফল চাষ হয়। সেগুলো এখনও পেড়ে ফেলার মতো পোক্ত হয়নি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল