আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। আর হত্যা মামলায় আসামি করার ব্যাপারে দলীয় কোন হস্তক্ষেপ ছিল না বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।
শনিবার দুপুরে সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল ওদুদ দাবি করে বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে হিন্দুর সম্পত্তি ভোগ দখলের দ্বন্দ্বের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। কারণ, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে খাইরুল আলম জেম ফেসবুকে লাইভ করে তাকে হত্যার শঙ্কার বিষয়ে বলে গেছেন। সুতরাং জেমকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন না তিনি।তিনি বলেন, ২০০৫ সালে যখন তিনি (এমপি আব্দুল ওদুদ) আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন তখনও দলের মধ্যে ঘাপটি মারা সুবিদাবাদীরা তার বিরোধীতা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি। আর এখনও তারা বিরোধীতা করছেন এতে দলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দলের মধ্যে কিছু দালাল থাকে তারা যখন যার দিকে সুবিধা পায় তখন তার কাছেই বিক্রি হয়ে যায়। আর জেম হত্যাকাণ্ড নিয়েও তারা সুবিধা নেয়ার জন্য দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং আমাকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই সেইসব দালালের কারণে দলের কোন ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। তিনি সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ হাট-ঘাট দখলের প্রমাণ দিতে পারলে তাহলে তিনি সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করে চলে যাবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় নামক স্থানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং অন্য আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছনি। এদিকে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে আসছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত