৩১ মে, ২০২৩ ২১:০৬

গুলিবিদ্ধের ৩ মাস পর মারা গেলেন শিবপুরের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ

নরসিংদী প্রতিনিধি

গুলিবিদ্ধের ৩ মাস পর মারা গেলেন শিবপুরের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ

হারুনুর রশিদ খান

সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত নরসিংদী শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান মারা গেছেন। 

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানের বাড়ির ড্রইং রুমে প্রবেশ করে মুখোশধারীরা তাকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করে। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুস্থ হওয়ার পর তিনি ভারতে চিকিৎসা নেন। ভারত থেকে ফেরার পর তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সর্বশেষ তিনি কোমায় চলে যায়। এরইমধ্যে আজ বিকেল ৫টার দিকে মারা যান তিনি।

হারুনুর রশিদ খানের মৃত্যুর খবরে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েন শিবপুরের সর্বস্তরের জনগণ। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা ফজলে রাব্বি খান মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গত ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করি। পরে কাকুর অবস্থার অবনতি হলে গত ১৩ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যাই। এরপর দেশে ফিরে আসি চলতি মাসের ২ তারিখে। দেশে ফিরে এসে সারাক্ষণ কাকু শুধু এসব নিয়েই ভাবতেন। পুলিশ কেন আসামিদের ধরছে না বার বার তা জানতে চাইতেন তিনি। এদিকে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হলে গত ৭ মে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। আজ বিকাল ৫টার দিকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশিদ খানের মরদেহ এখনো এভারকেয়ার হাসপাতালেই রয়েছে। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্তের পর মরদেহ শিবপুরে নেওয়া হবে। আগামীকাল বাদ জোহর নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

শিবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, হারুন অর রশিদ খান শিবপুর আওয়ামী লীগের সিংহ পুরুষ ছিলেন। তার মতো এত সাংগঠনিক ও দক্ষ লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার মৃত্যুতে শিবপুর আওয়ামী লীগে শূন্যতা সৃষ্টি হবে তা পূরণ হবার নয়। আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতিকে যারা গুলি করে হত্যারচেষ্টা চালিয়েছে, তাদের গড ফাদারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। 

এদিকে, হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ছেলে আমিনুর রশিদ খান তাপস। ওই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর