গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
বুধবার (০৭ জুন) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এরশাদনগর এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। অবরোধকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে প্রায় একঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের দেয়া আশ্বাসে রিফাতের স্বজন ও এলাকাবাসী মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে এলাকার শাখা সড়কে অবস্থান নেন। নিহত শরীফ হোসেন রিফাত টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ২নং ব্লকের ফারুক মিয়ার ছেলে। তিনি পাঠাও (রাইড শেয়ারিং অ্যাপ) চালক ছিলেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি- রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, রিফাতের স্বজনদের বিচারের বিষয়ে আশ্বস্থ করা হলে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এ ঘটনাটি গাছা থানায় ঘটেছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে খুঁজছে পুলিশ।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করছে নৌ-পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের একটি দলও কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকালে টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার ২ নং ব্লকের বাসিন্দা পাঠাও চালক শরীফ হোসেন রিফাতকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় যুবক কাজল ও সোহাগ। রাতে তারা বাসায় ফিরে এলেও বাসায় ফেরেনি রিফাত। পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর পলাশোনা এলাকার তুরাগ নদীর পানিতে রিফাতের লাশ ভেসে উঠে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
