গাজীপুরের শ্রীপুরে কভার্ডভ্যান চাপায় রাহাত (৮) ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চাপায় মাহিয়া আক্তার (৯) নামের দুই শিশু নিহত হয়েছে। এ দুই ঘটনায় আরও ছয়জন আহত হয়েছে, কভার্ডভ্যান চালককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে কভার্ডভ্যান চাপায় রাহাত ও সকাল ৮টায় উপজেলার মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কে পল্লী বিদুৎ মোড় এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চাপায় মাহিয়া আক্তার মারা যায়।
নিহত রাহাত (৮) ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার কুরচাই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে পরিবারের সাথে টঙ্গীর এলাকায় থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে পড়তো। নিহত শিশু মাহিয়া আক্তার (৯) ময়মনসিংহের পাগলা থানার আমিনুল ইসলামের মেয়ে। সে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল, মাহিয়া পরিবারের সাথে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামে বসবাস করত।
রাহাতের স্বজনদের বরাত দিয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত রাহাতের বাবা পরিবার নিয়ে টঙ্গী এলাকায় ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের পাগলা থানার কুরচাই গ্রামের যাওয়ার জন্য মায়ের সাথে বাসযোগে টঙ্গী থেকে মাওনা চৌরাস্তায় নামে। পরে মা-ছেলে মহাসড়ক পাড় হওয়ার সময় একটি কভার্ডভ্যান রাহাত চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কভার্ডভ্যানের চালক মো. ফারুককে (৩০) আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চাপায় মাহিয়া আক্তার নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। মাহিয়ার বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এসময় মাহিয়া মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়ক পাড় হওয়ার সময় টেপিরবাড়িগামী একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় সে। মাহিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিলে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারকে থানায় যেতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ