লালমনিরহাটে বিভিন্ন জায়গায় দু’দফা ঝড়ে সহস্রাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে টিনের ঘরের চালা। কিছু জায়গায় শতবর্ষী গাছসহ বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ ভেঙে পড়ায় রাস্তায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুতের খুঁটিসহ তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন ছিল এলাকাগুলো। গরু-ছাগল, হাস মুরগিসহ গৃহপালিত প্রাণীর ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টার পর থেকে জেলার ওপর দিয়ে দুই দফায় বয়ে যাওয়া ঝড়ে আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও হাতিবান্ধা উপজেলার গাছপালা ভেঙে পড়ে। উড়ে যায় টিনের চালাসহ ঘরবাড়ির বিভিন্ন অংশ। অনেক পরিবারের গরু-ছাগল, হাস, মুরগি, কবুতর হতাহত হয়েছে।
বুড়িমারী- লালমনিরহাট মহাসড়কে বড় গাছ ভেঙে পড়ায় ব্যাহত ছিল সড়ক যোগাযোগ। ছোট গাছপালা ভেঙে পড়ায় এখনও চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
বেশ কিছু পরিবারের বসতঘর উড়ে যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে ছেলে-মেয়েসহ আশ্রয় নিতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে আদিতমারী উপজেলাসহ অনেক এলাকায় বারো ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল। বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটিসহ তার ঠিক করে সংযোগ দিতে কাজ করে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোকে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সহায়তা করা হবে।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল