বগুড়ার শেরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এসময় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুল ইসলামে আটক করে।
রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ররোয়া আর্জিনা-হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙণে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। এরপর বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান। এরই মাঝে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে যায়। পরে এই শিক্ষক বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এমনকি ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বাড়ি এসে পরিবারের সবাইকে ঘটনাটি খুলে বলেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেন প্রধান শিক্ষক তরিকুল ও তার লোকজন। এজন্য মোটা অঙ্কের টাকাও লেনদেন হয়।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এলাকাবাসী। তারা ওই শিক্ষককের অপসারণ ও বিচার দাবিতে একাট্টা হয়। তাই রবিবার বিদ্যালয়ে ক্লাশ শুরু হওয়ার পরপরই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধারপূর্বক আটক করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়েই সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধারপূর্বক আটক করা হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, এ ধরণর ঘটনার কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। যা তদন্তের মাধ্যমেই সত্য ঘটনাটি উদঘাটন হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম