ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পাওনা টাকা নিয়ে চায়ের দোকানদার ও ক্রেতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আরজান মন্ডলের (৪৫) নামের ওই ক্রেতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।
মৃত আরজান কোটচাঁদপুরের রুদ্রপুর গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে। আর চায়ের দোকানদার আবু তালেব সারুটিয়া টেকের হাট বাজার এলাকার শহর আলীর ছেলে। শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে কোটচাঁদপুরের সারুটিয়া টেকের হাট বাজারে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ,আরজান গত ৩ বছর ধরে কাঠ গোলায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। এদিন সকাল ১০ টার দিকে গোলার পাশে আবু তালেবের চায়ের দোকানে চা খেতে যান। এ সময় পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায় দোকানদার ও ক্রেতার মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে দুইজনকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেন। কিছুক্ষন পর আরজান বুকে ব্যাথার কথা বলেন। সে সময় তাকে দ্রুত কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ওই সময় কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখে মৃত ঘোষণা দেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক শারমিন সুলতানা বলেন,আরজানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর লম্বা শ্বাস চলছিল। অবস্থা খারাপের দিকে ছিল। এ অবস্থা দেখে তাকে বেশ কিছুক্ষন সিপিআরও দেয়া হয়। তবে তাতে কোন লাভ হয়নি। পরে সে মারা যায়।
কি কারণে মারা গেল,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মারামারির ঘটনার কথা শুনেছি। তবে নিহতের শরীরে মারামারির কোন চিহৃ পাওয়া যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস। তিনি বলেন ,চায়ের দোকানদার ৩০০ টাকা পেতেন আরজানের কাছে। এটা নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সে মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের পর বলা সম্ভব মৃত্যুর প্রকৃত কারন।
পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিবুল হক।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ