কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তর দিকে আলুগোলা নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং নাজিরপাড়া বিওপি থেকে দুটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল সেখানে কৌশলগত অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর টহলদল তিনজন ব্যক্তিকে তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগ হাতে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে হাতে থাকা তিনটি পলিথিনের ব্যাগ ফেলে নাফনদীর পাশে কেওড়া বাগানের ভেতরে পালিয়ে যায় তারা। পরে টহলদল তল্লাশি চালিয়ে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া পলিথিনের ব্যাগ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ আরও জানান, পরে বিজিবি টহল দল জানতে পারে ওই এলাকা দিয়ে আরও ইয়াবা চালান হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত থেকেই টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে আলুগোলা (ভাংগা) মাছের প্রজেক্টের আইল, কেওড়া বাগান এবং বেড়িবাঁধ এলাকায় কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে টহলদল নাফনদী পার হয়ে তিনজন ব্যক্তিকে একটি প্লাস্টিকের বস্তা কাঁধে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে আলুগোলা মাছের প্রজেক্টের দিকে আসতে দেখে। তাদের চলাচলের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তারা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের কাঁধে থাকা বস্তাটি ফেলে নাফনদীর পাশে কেওড়া বাগানের ভেতরে পালিয়ে যায়।
টহলদল পরে তল্লাশি চালিয়ে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া বস্তার ভেতর থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে। উক্ত অভিযানে জব্দকৃত সর্বমোট ইয়াবার পরিমাণ ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস। তবে টহলদল অভিযানের সময় কোনো চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করতে পারেনি। চোরা কারবারিদের শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ৩ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ শেষে সেগুলো ধ্বংস করা হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই