বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউপির সান্দিড়া গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে আপন চাচার ইটের আঘাতে আজিজার মন্ডল (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত আজিজার সান্দিড়া গ্রামের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস মন্ডলের ছেলে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সান্তাহার ইউপির সান্দিড়া গ্রামে আজিজারের সঙ্গে তার চাচা ফরিদ মন্ডলের পরিবারের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় দু পক্ষের আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- আজিজার মন্ডল ও তার স্ত্রী আজিরণ বেগম, ছোটভাই আজিজুল মন্ডল এবং চাচা ফরিদ মন্ডল, তার ছেলে রিপন হোসেন ও রিপনের স্ত্রী রুপালী বেগম। আহতরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
আদমদীঘি থানানর ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান প্রায় ২০ বছর আগে ফরিদ মন্ডল তার মেয়ের সঙ্গে ভাতিজা আজিজার মন্ডলের বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর পারিবারিক কলহের জেরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে আজিজার মন্ডল আজিরণ বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একই সঙ্গে দু পক্ষের মধ্যে বাড়ির জায়গাসহ নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে উভয় পরিবারের মাধ্যে হট্টগোল লেগেই থাকতো।
একপর্যায়ে আজিজার তার পুরোনো বাড়ি রেখে মাঠের মধ্যে নতুন বাড়ি তৈরি করে স্ব-পরিবারে বসবাস শুরু করেন। এর কিছুদিন পর ফরিদও তার বাড়ির পশ্চিম পাশে জমি কিনে সেখানে বসত বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। সেখানেও তুচ্ছ বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের মাধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটতো।
গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আজিজার তার বাড়ির সামনের গলিতে বের হলে ফরিদ মন্ডল তার মাথায় ইটের আঘাত করেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মারপিট শুরু হয়।
মারপিটে দু’পক্ষের লোকজন আহত হয়। আর আজিজারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে আজিজার মারা যান।