কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তিস্তা নদীর পানি কমে এখনও বিপৎসীমার অনেকটা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়লেও এখনও তা বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো জানিয়েছে, রবিবার বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি কিছুটা কমে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়াও দুধকুমার ও ধরলা নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি এসেছে। ফলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার শঙ্কায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকের ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় বের হতে পারছেন না।
এদিকে, তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাটে তিস্তার বাম তীরের স্পার বাঁধের একাধিক স্থানে ধস দেখা দেয়ায় এ উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নে শতাধিক পরিবারের বাড়িঘরে পানি ওঠে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা। এছাড়াও এ এলাকায় নদী ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছেন এসব মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে বুড়িরহাটে স্পারটির ৬০ মিটারের মধ্যে মাথার অংশে ৩০ মিটার ধসে গেছে। বাকি ৩০ মিটার রক্ষায় বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।
এদিকে, স্পার বাঁধ দেবে যাওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে ভাটির দিকে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি, মেদনী, কালীরমেলাসহ কয়েকটি গ্রামের ঘর-বাড়ি। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, স্পার ও বাঁধের বাকি অংশ রক্ষা করা না গেলে ভাঙনের কবলে পড়ব আমরা এলাকাবাসী। এছাড়াও গ্রামের ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনাও নদীগর্ভে চলে যাবে।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি গ্রামের ইদ্রিস আলী জানান, স্পারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে রাতভর দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমরা। দ্রুত এটি মেরামত না করা হলে এই এলাকাটি নদীতে ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত