পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজীর (৪০) দ্বারা বলৎকারের শিকার হয়ে আল-রাফি (১২) নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের বড় ডালিমা ব্রিজ সংলগ্ন ধানদি-বড়ডালিমা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিছিলটি বড়ডালিমা থেকে শুরু হয়ে কালাইয়া বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এলাকার সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, হারুন অর রশিদ, জি এম ফোরকানসহ বিভিন্ন রাজনৈতীক দলের ও ধর্মীও আলেম সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
নিহতের পরিবার ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, আল রাফিকে মাদ্রাসারটির পরিচালক কাম শিক্ষক বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘ মাস ধরে বলৎকার করে আসছিল। গত তিন সপ্তাহ আগে শিশুটি পেটের ব্যথাসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। এরপর তারা শিশুটিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, সেখান তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শেষে সেখানের চিকিৎসকরা জনিয়েছেন শিশু রাফির মলদারে ক্যান্সার হয়েছে। যা ওর শরীরের রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর ভর্তি করা হয় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার সময় শিশু আল রাফির মৃত্যু হয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এখনও মামলা দায়ের হয়নি। তবে মামলা দায়ের করবেন বলে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করছে। অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে সকল প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম