জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী বাজার এলাকায় একটি বাড়ির গোসলখানা নির্মাণের জন্য জায়গা খুঁড়তে গিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। সাথে চামড়ার একটি বেল্টও পাওয়া গেছে। পুলিশ শনিবার রাতে লাশটি উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধরঞ্জী গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে নাঈম হোসেন (২২) নামের এক তরুণ গত ২২ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ রয়েছে। ওইদিন রাত ৮টার দিকে ধরঞ্জী বাজারে যাওয়ার পর আর সে বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বজনরা তাকে না পেয়ে ২৫ এপ্রিল তার মামা ওহেদুল ইসলাম পাঁচবিবি থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। এলাকাবাসীর ধারণা এটি তারই লাশ হতে পারে। হত্যার পর তাকে ফাঁকা স্থানে হয়তো পুঁতে রাখা হয়েছিল। তবে পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা লাশটির ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর এর সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, বাড়ির মালিক সামছুল ইসলাম দুজন রাজমিস্ত্রী ও নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে বাড়ির নির্মাণ কাজ করছিলেন। গোসলখানা নির্মাণের জন্য শনিবার বিকেলে বাড়ির সাথে ফাঁকা স্থানে একজন নির্মাণ শ্রমিক খুঁড়তে গিয়ে কোদালের সাথে প্রথমে একটি বেল্ট উঠে আসে। সাথে দুর্গন্ধও বের হয়। বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানালে তিনি থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে জায়গাটি খুঁড়ে গলিত লাশ উদ্ধার করেন।
নির্মাণ শ্রমিক রবিউল ইসলাম জানান, গোসলখানা নির্মাণের জায়গায় লাউ, কুমড়া ও পুঁইশাকের গাছ ছিল। জায়গাটি বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ঘেরা ছিল। পরিস্কার করার পর জায়গাটি দেবে যায়। পরে কোদাল মারলে একটি বেল্ট বের হয়ে আসে। এরপর চরম দুর্গন্ধ ছড়ায়। বিষয়টি হেডমিস্ত্রীকে জানালে তিনি এসে কোদালের কোপ দেওয়া মাত্র আরো বেশি গন্ধ বের হয়। তখন বাড়িওয়ালাকে অবগত করলে তিনি থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে সেখান থেকে মৃত ব্যক্তির গলিত লাশ থেকে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করেন।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে রাত ন’টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বেল্ট ও বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। এর নমুনা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে লাশটির সঠিক পরিচয় জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম