নোয়াখালী সদর উপজেলার দুইটি স্থান থেকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বাসহ দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত পরিবারের অভিযোগ তাদের হত্যা করা হয়েছে। সুধারাম থানা পুলিশ দুটি স্থান থেকে সোমবার সকাল ও দুপুরে দুটি লাশ উদ্ধার করে।
সুধারামের এওজবালিয়া ইউনিয়নের করমূল্যা গ্রামের প্রবাসী মনির উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে গত ৯ মাস আগে একই উপজেলার আন্ডার চর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মাহমুদুল হাসানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পরকীয়া আসক্ত স্বামী মাহমুদুল হাসান তার স্ত্রী ফাতেমাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকে এবং ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক মাস আগে মেয়েকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে আবার গত ২ মাস আগে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং স্বামীর অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয় বিষয়ে স্ত্রী বাধা দিলে স্বামী ও তার তার পরিবারের লোকজন তাকে বেদম মারধর করে এবং ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরই জের ধরে রবিবার রাতে মেয়েকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেন। তারা এ হত্যার বিচার দাবি করেন।
অন্যদিকে জেলা শহরের মাইজদী মধুসুধনপুর গ্রাম থেকে জেসমিন আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুধারাম থানা পুলিশ হাসপাতাল রোডের শাহিদা ভিলা থেকে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। নিহতের স্বামী মামুনুর রহমান ঘটনার পর পর ঘা ঢাকা দিয়েছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জের আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে মহেশপুর গ্রামে। ৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। নিহতের একটি সন্তান রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি কলহের জের ধরে স্বামী ও তার শ্বশুর পরিবারের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। তারা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিলে গ্রহণ করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল