নানা অনিয়মের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম ও ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন যৌথ অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়ম এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জরিমানা ও বন্ধের নির্দেশ দেন।
অভিযানে ডেপুটি সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্যাথলজি বিভাগে সনদবিহীন ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রিপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পায় সিভিল সার্জন ও উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় অনিয়মের দায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দায়িত্ব ও খরচে রোগীদেরকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ দেন তারা।
এ বিষয়ে মালিকপক্ষের একাংশ বলেন, ১৯৯৩ সালে আমাদের পিতা ডা. সিরাজুল ইসলাম বয়সের কারণে শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ থাকলেও তিনি হজ্জ পালন করার ইচ্ছে করেন। তখন আমি ও আমার আরেক ভাই বিদেশে থাকি। আমাদের আরেক ছোট ভাই তখন নাবালক। বোনেরা বড়। তারা যার-যার শ্বশুরবাড়িতে। ছোটরা লেখাপড়া করে, এই সুযোগে আমাদের বড় ভাই ডাক্তার আজিজুল হক স্বপন আমাদের সকলের সহযোগিতায় নির্মিত আনোয়ারা জেনারেল হাসপাতালের ভূমি ও ভবন আত্মসাৎ করার জন্য হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারীর সহযোগিতায় জাল কাগজপত্র সৃজন করেন। পরে হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির জন্য রোগীরা বিভিন্ন সময় থানাসহ অন্যান্য জায়গায় অভিযোগ করেন। যা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক আমরা এটাই চায়।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালটিতে মানহীন কার্যক্রম পরিচালনা এবং সনদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কর্মকাণ্ড করা হচ্ছিল। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় হাসপাতালটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়ে নিজ দায়িত্ব ও খরচে রোগীদেরকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত