শেরপুর সদর উপজলোর চরশেরপুর ইউনিয়নের বামনেরচর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন স্ত্রী সুমি আক্তার (২০) ও তার শিশু কন্যা আবিদা অপহরণের শিকার হয়। অপহরণের ১২ দিন পর আজ শনিবার ভোর রাতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পারদা পাথারিয়া পাড়া থেকে ওই অপহৃত গৃহবধূ ও তার শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেছে শেরপুর ডিবি পুলিশ। তবে সাবেক স্বামী অপহরণকারী আব্দুল কাদের পলাতক রয়েছে।
গৃহবধূ সুমি আক্তার শেরপুর সদর উপজলোর চরশরেপুর ইউনিয়নের বামনেরচর গ্রামের কৃষক জাকির হোসেনের স্ত্রী ও আ. কুদ্দুসের মেয়ে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেরেপুর সদর উপজেলার বামনের চর গ্রামের আক্রাম হোসেনের ছেলে জনৈক মো. জাকরি হোসনে ৬ মাস পূর্বে একই গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন। সুমি আগের স্বামীর সন্তান আবিদাকে নিয়ে বর্তমান স্বামী জাকিরের বাড়িতে থাকেন। ঘটনার দিন সকালে পূর্বের স্বামী কাদের পূর্ব পরিকল্পনা মত একটি সিএনজিসহ সুমির বর্তমান স্বামী জাকির হোসেনের বাড়ীর সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকে।কন্যা আবিদা বের হওয়া মাত্র কাদের তাকে খাবার লোভ দেখিয়ে দাঁড়ানো সিএনজিতে উঠায়।
বিষয়টি শিশুর মা দেখে সিএনজির কাছে গেলে সুমিকে মুখ চেপে ধরে জোরর্পূবক গাড়ীতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সুমি আক্তারের বর্তমান স্বামী জাকির হোসেন অপহরণকারী কাদেরসহ অপরাপদের আসামি করে আদালতে মামলা দায়রে করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অপহৃত সুমি ও শিশু কন্যা আবিদা উদ্ধার এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
ডিবি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ শনিবার ভোর রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার পারদা পাথারিয়া পাড়া গ্রামে অপহরণকালী আ. কাদেরের ভাই রুবেলের বশতবাড়ি থেকে সুমি আক্তার ও কন্যা আবিদাকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী কাদেরসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তদন্তকারি কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুমি আক্তারকে ডাক্তারী পরীক্ষা এবং ২২ ধারায় তার জবানবন্দীর জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল