বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নে বন্যায় পাকা সড়ক ভেঙে ভোগান্তিতে পড়েছে ৪ গ্রামের মানুষ। এসব গ্রামের প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের যাতয়াত এই সড়ক দিয়ে। গত বন্যায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন ও মানিকদাইড় বাজারসহ শহর এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের মানিকদাইড় বাজারের পূর্ব ধারে দুটি কালভার্টের পাশে গত বন্যায় ভেঙে যায় পাকা সড়ক। এতে করে কালভার্ট দুটির দু’পাশে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাথে কাজলা ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়াও কাজলা ইউনিয়নের টেংরাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেও বন্যার স্রোতে রাস্তা ভেঙে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে করে পাকেরদহ গ্রামের ২০ হাজার, মানিকদাইড় গ্রামের ১২ হাজার, টেংরাকুড়া গ্রামের ৩০ হাজার গ্রামবাসী প্রতিনিয়ত নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হয়ে চলাচল করছেন। প্রয়োজনের তাগিদে তাদের পায়ে হেঁটে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। এই সড়কে বর্তমানে চলছে না কোনো গাড়ি।
ওই ভাঙা স্থান মানিকদাইড় বাজার থেকে দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার পরে নব্বইয়ের চর বাজার, দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে কটাপুর বাজার, ২ কিলোমিটার দক্ষিণে আনন্দ বাজার এবং আড়াই কিলোমিটার দক্ষিণে শাহজালাল বাজারের একটি সংযোগ সড়ক রয়েছে। যা সরাসরি সারিয়াকান্দি মাদারগঞ্জ ঘাট বা জামালপুর জেলার সাথে সংযুক্ত। গত বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের ফলে এসব সংযোগগুলো এখন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে পূর্ব সারিয়াকান্দির প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হয়ে যাতয়াত করছেন।
মানিকদাইড় বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস জানান, এই বাজারের সকল ব্যবসায়ী তাদের মালামাল জামালপুর জেলা সদর থেকেই নিয়ে আসেন। জামালপুরের সাথে সংযোগের প্রধান সড়কটি মানিকদাইড় বাজারের পূর্ব পাশে ভেঙে যাওয়ায় আমরা যানবাহনে মালামাল বাজারে নিয়ে আসতে পারছি না। ভাঙন এলাকা পর্যন্ত যানবাহন এসে মালগুলো নেমে দিয়ে যায়। পরে আমরা মাথায় করে মালমাল বাজারে নিয়ে আসি। ফলে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় পণ্যগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাকেরদহ গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন এলাকার পাশে গ্রামবাসী তাদের যানবাহনগুলো রেখে পায়ে হেঁটে বাজারে যান। কৃষকরা তাদের ফসলাদি এবং গৃহপালিত গবাদিপশু কাঁধে করে পারাপার করেন। এতে প্রতিদিনই ভাঙন এলাকায় নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এ ছাড়াও জরুরি কোনো রোগী থাকলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার জানান, ইতিমধ্যেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। অতি দ্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো মেরামত করতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই