নারায়ণগঞ্জ শহরের শীতলক্ষ্য নদী সংলগ্ন একটি ড্রেন থেকে সোহেল (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের লাশ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে স্বজনরা সোহেলের স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সন্দেহে পুলিশ সোহেলের চন্দন নামে এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
স্বজনদের দাবি, সোহেলকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত সোহেল শহরের জিমখানা এলাকার সাহেব আলীর পুত্র। সোহেলকে হত্যার খবর শুনে গভীর রাতে তার বাসস্থান শহরের জিমখানা এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ হাসপাতালে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশের একাধিক টিম হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
লাশের বিবরণের প্রাথমিক ধারণা দিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, নিহতের নাক দিয়ে রক্ত পরছে আর গলায় দাগ আছে। নানা স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে।নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম