ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় কাশেম মাতুব্বর (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ নিখোঁজের দুইদিন পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। কাশেম মাতুব্বর দেওড়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত কাশেম মাতুব্বর বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাও নিয়েছেন। গত সোমবার এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সাথে ঘুমিয়ে যান বৃদ্ধ কাশেম। পরিবারের অজান্তেই রাতের কোন এক সময় তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা ঐদিন রাতে ও পরের দিন মঙ্গলবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি। পরে বুধবার সকালে পুলিশের পরামর্শ নিয়ে নিহতের ছেলে খায়ের মাতুব্বর ভাংগা থানায় একটি হারানো অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার সন্ধ্যার পরে এলাকাবাসী কাশেম মাতুব্বরের বাড়ির পাশের পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করলে পরিবারের লোকজন ভাসমান মৃতদেহটি কাশেমের মরদেহ বলে সনাক্ত করেন।এ ঘটনায় কাশেমের স্ত্রী খবিরন বেগম জানান, আমার স্বামী কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি রাতে বারবার ফজরের আজান দিয়েছে বলে বের হয়ে মসজিদের দিকে যেতেন। কিন্তু গত দুইদিন পূর্বে বের হয়ে আর ফেরেনি। আমাদের ধারণা অজু করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে আর উঠতে পারে নাই। তবে তার কোন শত্রু নাই ।আমাদেরও কোন অভিযোগ নাই।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) প্রদ্যুত সরকার জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত দেহটি বুধবার রাত ৯টার দিকে উদ্ধার করি। পরিবারের লোকজন লাশটি কাশেম মাতুব্বরের বলে সনাক্ত করে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে কাশেম মাতুব্বরের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের লিখিত নিয়ে দাফনের জন্য মরদেহ পরিবারের নিকট দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ