শেরপুর জেলা সদরের টালিয়াপাড়ায় মহুরী মো. গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলতাফ হোসেনকে (২৮) রাজধানী ঢাকা হতে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আদালতের রায়ের ছয় বছর পর মোস্তফা গ্রেফতার হলেন। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার চরখারচর গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে।
২১ অক্টোবর রাতে র্যাব-১৪ (সিপিসি-১) এর স্কোয়াড্রোন লিডার আশিক উজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আলতাফ হোসেনকে রাজধানীর খিলক্ষেত রেলগেইট এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আসামিকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়- জামালপুর সদরের বাজারীপাড়ার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৬৯) জামালপুর কোর্টে মহুরীর (আইনজীবীর সহকারী) কাজ করতেন। আলতাফ হোসেন কাজ করতেন জামালপুর বাস টার্মিনালের হেলপার হিসেবে। আলতাফ হোসেনের বন্ধুর স্ত্রী লেখাপড়া করার জন্য গোলাম মোস্তফা মহুরীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। ওই নারীকে বাসা ভাড়া দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি আলতাফ হোসেন ও তার দুই সহযোগী গোলাম মোস্তফাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর মামলার কথা বলে জামালপুর জেলা শহরের সকাল বাজার এলাকায় মো. পারভেজ মিয়ার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় আলতাফ ও তার দুই সহযোগী। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গোলাম মোস্তফাকে হত্যা আলতাফ এবং পরে মরদেহ গুম করার জন্য শেরপুর সদরের টালিয়াপাড়ার একটি ছন গাছের ঝোঁপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে শেরপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গোলাম মোস্তফার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরদিন শেরপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই আসামি আলতাফ হোসেন পলাতক ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ