সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ইছামতি গ্রামে দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ এদেরকে আটক করে।
এর আগে শনিবার রাতে নিহত আলামিনের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে মেরাজুল ইসলাম (২৬), একই গ্রামের বেলায়েত খানের ছেলে লোকমান খান (২৮), চকচন্ডি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সবুজ (৩১) ও একই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে বাবু শেখ (৩০)।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে আলামিনের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের হায়দার আলীর পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে আল-আমিন ও তার বন্ধু আল-আমিন শেখের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায় হায়দার আলীর লোকজন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আল আমিনের। গুরুতর আহত হন তার বন্ধু আল-আমিন শেখ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত আলামিনের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম