ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, উপকূলীয় এলাকায় আবহাওয়া সতর্ক বার্তা ব্যাপক প্রচার, ৪৮৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র যার ধারণ ক্ষমতা ৩ লাখ ৩৮ হাজার এবং সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের সাড়ে ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা, ১০২টি মেডিকেল টিম হঠন, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৪৪৯ মেট্রিক টন জিআর চাল মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজ এবং জেলা, উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সকল কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পর্যবেক্ষক আজরুল ইসলাম বলেন, হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। হাতিয়াসহ উপকূলীয় এলাকায় সোমবার ভোর রাতের দিকে ৩৭ মিলিমিটার এবং আজ ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে তীরবর্তী এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য। আমাদের ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৪৮৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই