গত বছর ৭ এপ্রিল রাতে যশোরের চৌগাছা উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামে সংঘঠিত জোড়া হত্যার ঘটনায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও অপর দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেলে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট হলেও দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা আদালত চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। উচ্চ আদালতে তারা আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন টেঙ্গুরপুর গ্রামের আবজেল খানের ছেলে বিপ্লব ওরফে বিপুল ও মুকুল খান। তাদের ভাই বিল্লাল খান ও তার স্ত্রী রূপালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে চৌগাছা উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামে মুকুল হোসেনের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন ইউনুস খান। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মুকুল ও ইউনুসের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মুকুল, বিল্লাল, বিপুল ও রূপালী বেগম একসাথে ইউনুসকে মারপিট করেন। পরে ইউনুস খান বাড়িতে গিয়ে তার ভাই আইয়ুব খান ও ভাতিজা আসাদুজ্জামান খান মুকুলের চায়ের দোকানে প্রতিবাদ করতে যান। এসময় মুকুল, তার ভাই বিপুল, বিল্লাল ও রূপালী বেগম একজোট হলে ইউনুস খান, তার ভাই আইয়ুব খান ও আসাদুজ্জামান খানকে গাছি দা ও বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। গুরুতর আহত অবস্থায় এ তিনজনকে চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা ইউনুস ও আইয়ুবকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইয়ুব খানের মেয়ে সোনিয়া খান বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। পরে এ মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
এ মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি আসাদুজ্জামান বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামি মুকুল খান ও বিপ্লব ওরফে বিপুলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। একইসাথে অপর দুই আসামি বিল্লাল ও তার স্ত্রী রূপালী বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ