ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অতিক্রম ও প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় সূবর্ণচর, সদর, হাতিয়া, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জসহ ৫টি উপজেলায় দুই শতাধিক কাচা ঘর ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমী আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদারকি করছেন।
জেলার উপকূলী এলাকা হাতিয়া, সূবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের দ্বীপ ও চরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে গাছ পড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের লাইন বিছিন্ন ও ইন্টারনেট কানেকশন বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া গত দুই দিন থেকে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটে গাছ কেটে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে দেখা গেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূল অতিক্রম করার সময় নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় এ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। তবে এসময় কোনো হতাহত বা নিখোঁজ হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সূবর্ণচরের কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে আমন ধান কেটে শত শত কৃষক জমিতে রেখেছেন এবং অনেকে পাকা ধান কাটার অপেক্ষায় রয়েছেন। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি ও পানির নিচে ডুবে গেছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোশরেফুল হাসান জানান, কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদারকি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান জানান, উপকূলীয় এলাকায় কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করছেন। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সঠিক হিসাব দেওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ