ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘর-দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘর ভেঙে যাওয়ায় অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুত সরবরাহ লাইন। ফলে দুই দিন ধরে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই।
ঘর কিংবা গাছ চাপা পড়ে কোথাও হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে ঝড়ের কবলে পড়ে তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে চার জেলেসহ মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় বাদশা মিয়া (৫০) নামের এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভোলা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হাসাইন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ভোলায় ৭৩ টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ৪২৬ টি আংশিক বিধ্বস্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এছাড়া জেলার সাত উপজেলা থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ৭৮ হাজারা ১১১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ত্রাণ কর্মকর্তা আরও জানান, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে অতি দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারেসুল করীম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লক্ষ ৭০ হাজার ১১১ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছিল। ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় ২৫ শতাংশ ফসল আংশিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে রবি শস্যের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া কোন কোন জমিতে সরিষা এবং খেঁসারির বীজ ফেলা হয়েছিল। সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এখনও বীজ ফেলার সময় আছে। কৃষকদের পাশে সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের কর্মীরা রয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কৃষকরা এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল