সাভারে হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় নিহতের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম (১৮) নামে এক যুবকের উপর হামলা চালিয়েছে আসামিপক্ষ। গত ৬ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে সাভার বাজার বাসস্টান্ডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রিয়াদুল ইসলামকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী রিয়াদুলের মা ও নিহত জামাল হোসেন গোলদারের স্ত্রী সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাভার উপজেলার দক্ষিণ রাজাসন সাইনবোর্ড মোড় এলাকার আব্দুল হামিদ মাওলানার ছেলে রায়হান হামিদ (৩৬), তার বড় ভাই ফোরকান হাকিম (৪৮), ইমরান হাকিম (৪০), একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আনোয়ার (৪৫)। এছাড়াও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লা বিশ্বাস। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর রিয়াদুল ইসলামের বাবা জামাল হোসেন গোলদারের সন্দেহজনক মৃত্যু হয়।
তার চাচা ইমরান হোসেন গোলদার বাদী হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামিরা হলেন সাভার পৌরসভার দক্ষিণ রাজাসন সাইনবোর্ড মোড় এলাকার আব্দুল হামিদ মাওলানার ছেলে ফোরকান হাকিম (৪৮), লোকমান হাকিম (৫১), গোফরান হাকিম (৪৫) ও ভোলা জেলার রুইতা গ্রামের আজিজ সিয়ালীর ছেলে কাঞ্চন সিয়ালী ওরফে দ্বীন মোহাম্মদ (৫৫)। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান হামিদের সহোদর ভাই ও একজন খালাতো ভাই রয়েছে। হামলার শিকার রিয়াদুলের মা ও নিহত জামাল হোসেন গোলদারের স্ত্রী মশিউড়া বেগম বলেন, আমার স্বামীকে আসামিরা ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে আমার দেবর আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাটি তুলে নিতে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল আসামিপক্ষ। মামলা তুলে নিতে না চাওয়ায় আমার সন্তান রিয়াদুলকেও হত্যার চেষ্টা করেছে তারা। এখন আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জামাল হোসেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লা বিশ্বাস বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। এখনো তদন্ত চলমান। প্রাথমিকভাবে আমরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। নিহত জামাল হোসেনের ছেলের ওপর হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ