বরিশালে বিনাধান-১৭’র মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলার বাবুগঞ্জে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।
উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিনা ময়মনসিংহয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মুরাদুল হাসান এবং জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সনজীব মৃধা।
বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক ও কৃষক কাজী নজরুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ। মাঠদিবসে বাবুগঞ্জের ৫০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চল দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। এখানে ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকে। এসব বিষয় বিবেচনা করে বিনাধান-১৭ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর গাছের উচ্চতা কম। কাণ্ড এবং ছড়া বেশ শক্ত। তাই বাতাসে হেলে পড়ে না। জাতটি খরাসহিষ্ণু। সার ও সেচ কম লাগে। তেমন রোগবালাইও হয় না। স্বল্পকালীন এই জাতটির জীবনকাল ১০৮-১১০ দিন। এর চাল চিকন। ভাত হয় ঝরঝরা। এ জাতের ধান চাষ করে সরিষা আবাদ করা যায়। চাষের জন্য আবশ্যই উচু এবং মাঝারি উচু জমি নির্বাচন করতে হবে। ১৫ থেকে ১৮ দিনের বয়সের চারা লাগাতে হবে। বিঘা প্রতি এর গড় ফলন ২৫ থেকে ২৭ মণ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল