ভাঙ্গায় আনোয়ারা বেগম সানু (৬০) নামক এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামের মৃত মোস্তফা হাওলাদারের স্ত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় সানু বেগমের উপর হামলা হলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমারখালি গ্রামের মৃত মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে রেজাউল হাওলাদারের সাথে প্রতিবেশি আতিয়ার হাওলাদারের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিলো। গত রবিবার সন্ধ্যার আগে আতিয়ার হাওলাদারের ছোট ভাই আকমত ওরফে আতাউল হাওলাদারের শিশু কন্যা নাঈমা (৩) প্রতিবেশি রেজাউল হাওলাদারের বাড়ির সামনে খেলতে আসে। এ সময় বাচ্চাদের খেলাকে কেন্দ্র করে নাঈমার মা সাথী বেগমের সাথে রেজাউলের স্ত্রী শিল্পী বেগমের ঝগড়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় আতিয়ার হাওলাদারের লোকজন আনোয়ারা বেগম সানুর উপর হামলা করে। সানু বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘারুয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিল মাতুব্বর বলেন, দুই পক্ষের আগে থেকেই বিরোধ ছিলো। রবিবার ছোট শিশুদের খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ঝগড়া বিবাদকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় উত্তেজনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ