৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৫১

বেনাপোল এক্সপ্রেসে রাজবাড়ীর নিখোঁজ যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছেই

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

বেনাপোল এক্সপ্রেসে রাজবাড়ীর নিখোঁজ যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছেই

বাম থেকে চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি, এলিনা ও আবু তাহলা

ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ীর ৩ যাত্রীর খোঁজ মেলেনি। আজ শনিবার দুপুরে নিখোঁজ তিন পরিবারের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

শুক্রবার রাত ৯টার কিছুক্ষণ পর ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তখন থেকেই নিখোঁজ চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮), এলিনা (৩৮) ও আবু তাহলা (২৪)। প্রথমে সৌমি ও এলিনার নিখোঁজের বিষয়টি জানা গেলেও পরে তালহার বিষয়টি জানা যায়। 

সৌমি চৌধুরী রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত চিত্ত রঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে। ঢাকায় এশিয়া পেসিফিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।

এলিনা ইয়াসমিন (৩৮) রাজবাড়ী পৌরসভার লক্ষীকোল রাজারবাড়ী গ্রামের মৃত সাঈদুর রহমানের মেয়ে। বাবার মৃত্যুর ১০ দিন আগে পাঁচ মাসের ছেলে সৈয়দ আরফানকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন এলিনা। 

আবু তাহলা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।

সৌমির ভাই অতনু প্রামাণিক বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে এখন পর্যন্ত সৌমির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গতরাত থেকে ঢাকা মেডিকেল, মুগদা হাসপাতাল, আনোয়ারা মেডিকেলে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এলিনার মামা রাজবাড়ী জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. কে এ বারি বলেন, আমার ভাগ্নি এলিনার সন্ধান পাইনি। আমরা সব জায়গাতেই খোঁজাখুজি করছি।

আবু তাহলার বাবা বলেন, আমার ছেলে বেনাপোল এক্সেপ্রেসে ঢাকায় ফিরছিল। সে ফোন করে বলেছিল ঢাকায় এসে আমাকে ফোনে নিশ্চিত করবে। সর্বশেষ তার কোনো সন্ধান পাইনি আমরা।

শনিবার দুপুরে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমনাথ বসু বলেন, আমাদের কাছে নিখোঁজ যাত্রীদের কোনো তথ্য নেই। 

উল্লেখ্য, রাজবাড়ী থেকে সন্ধ্যা ৬টায় পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বেনাপোল এক্সপ্রেস। ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন তারা। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর