ফেনী পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০ বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আজ রাতে মামলাটি করেন ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুরের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম।
মামলার এজহারে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ এবং আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসের রিয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কপিল উদ্দিন মামুন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক কামরুল হাসান মাসুদসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাদীসহ কয়েকজন নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি কাজে ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুর এলাকার যুবলীগ কার্যালয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা লাঠিসোঁটা, রড, রামদা, চাপাতি, পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা ৩০ থেকে ৩৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের মারধর করে। এতে কার্যালয়ের প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীর নামে মামলার তীব্রনিন্দা জানিয়েছেন ফেনী জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিকসহ যুবদলের সভাপতি-সম্পাদক ও অঙ্গসংগঠনসহ ফেনী জেলা বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে এবং অনেক অজ্ঞাতনামা নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসব রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা গায়েবি মামলা। পুলিশ অতি উৎসাহি হয়ে গায়েবি মামলা করে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার চেষ্টা করছে।
ফেনী সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি পুলিশ। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ফেনীর বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
