মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দিনাজপুরে অব্যাহত রয়েছে। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাপানো শীতের দাপটে কাহিল দিনাজপুরবাসী। সকাল ৯টার পর সূর্যের দেখা মেলায় জনমনে কিছুটা স্বস্থি। কিন্তু বিকালের পর থেকে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে বিপর্যস্থ মানুষ।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে স্কুলগুলো বন্ধ ছিল।
তাপমাত্রা বেশি ওঠানামা করার কারণে বাড়ছে শীতজনীত রোগ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে।
সন্ধার পর দিনাজপুর শহরের অনেক স্থানে অনেকে আগুন জ্বালিয়ে একটু উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্ঠা করছে। কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছি না। এই ঠান্ডা আর বাতাসে কাজ করতে গেলে হাত-পা কোকড়া লাগি যাছে। আটোচালক সাগর রায় বলেন, দুপুরের আগে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে, দুপুরের পর বিকেল হতে না হতে ফির হারে যাছে সূর্য।
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে সোমবার বিকালে দুইদিন স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার রাখার ঘোষনা দিয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী জেলায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় জেলার সব উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার ও বুধবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪শতাংশ। বাতাসের গতি ২ নটস। তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
বিডি প্রতিদিন/এএম