অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরু চালের বৃহত্তম মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসক। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ অভিযান শুরু হয়। দেড় ঘণ্টার এ সাদামাটা অভিযানে মোট তিনটি অটো রাইস মিলে যায় অভিযানিক দল। এর দুটিকে ওজনে চাল কম দেওয়ার অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে চালের বেধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা, অতিরিক্ত মজুদ রয়েছে কিনা, ওজন ঠিক দিচ্ছে কিনা, বেধে দেওয়া দাম ঠিক আছে কিনা, এসব খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়।
এসময় চালের বস্তায় ওজনে কম পাওয়ায় গোল্ডেন রাইস মিলকে ৫০ হাজার ও দেশ এগ্রো লিমিটেডকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়াও অভিযানিক দল রশিদ এগ্রো লিমিটেডে গিয়ে সবকিছু তদারকি করেন। বিশালাকার এ মিলের ২/৩টি গুদাম পরীক্ষা করেন। সিন্ডিকেট করে নির্দিষ্ট কিছু পার্টির কাছে চাল বিক্রির অভিযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কর্মকর্তা সুচন্দন মন্ডল। এসময় কুষ্টিয়া এলাকার কোনো ক্রেতার কাছে চাল বিক্রির রশিদ দেখাতে পারেননি আব্দুর রশিদ। সেসময় জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা সবার কাছে চাল বিক্রি করার নির্দেশনা দেন।
অন্যদিকে গোল্ডেন রাইস মিলের একটি গুদামে অনেক পুরনো ধান পাওয়া গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে অভিযান শেষে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, তারা আমাদের নির্ধারিত দামেই চাল বিক্রি করছে। সেজন্য এতে কোনো সমস্যা হবে না।
জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানো হলে বা অবৈধভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত মিনিকেট চাল খুচরা বাজারে ৬৪ টাকা কেজি ও আটাশ (মোটা চাল) ৫২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এভাবে খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে আবারও দাম নির্ধারণ করা হবে।
অভিযানে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেন, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান ও র্যাব-পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই