২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৫৫

পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় যুবলীগ কর্মী জিয়াউলকে : স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়
যুবলীগ কর্মী জিয়াউলকে : স্বীকারোক্তি
রাজশাহীর তানোরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগ কর্মী জিয়াউল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। বুধবার রাত ১২টার দিকে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- তানোর লালপুর এলাকার হাবিবুরের ছেলে হাকিম বাবু (৪৪), তার ভাই আবুল হাসান (৪২), শাহীন (২৫), একই এলাকার লুৎফরের ছেলে রাসেল (৩০) ও সাইদুর রহমানের ছেলে সুফিয়ান (৩৬)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে বাবু ও সুফিয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি তিনজনকে র‌্যাব-৫ এর সদস্যরা কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, পরকীয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী জিয়াউল ইসলামকে খুন করা হয়েছে।
র‌্যাব জানায়, রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহর গ্রামের সুমি খাতুনকে বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মামলার ইউপি সদস্য হাসান। এর আগে থেকেই সুমি খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জিয়াউল ইসলামের। বিষয়টি হাসান বুঝতে পেরে সতর্ক করে। পরে গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শত্রুতা বেড়ে যায়। এছাড়া হাসানের দোকানে আগুন কে-বা কারা আগুন দেয়। এ নিয়ে মামলা করে হাসান।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জিয়াউলকে কুপিয়ে হত্যার করা হয়। 
র‌্যাব জানায়, নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে তানোর থানায় যে মামলা করেছেন, তাতে প্রধান আসামি ইউপি সদস্য হাসান। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে জিয়াউলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর