কুড়িগ্রামের লাগাতার কয়েকদিনের চরম গরমে মারাত্মক দুর্ভোগে এখানকার জনজীবন। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমুহে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস শুক্রবার দুপুরের পর জানিয়েছে, এদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ। তবে এ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহ ধরে ৩৪ থেকে ৩৭ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। এছাড়াও সামনে কুড়িগ্রাম জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর ই মোর্শেদ জানান, এ রকম রোদে ঘর থেকে পারতপক্ষে বাইরে সতর্কতা অবলম্বন করে যেতে হবে। ছাতা কিংবা গায়ে কাপড় পরে যেতে হবে। ঘন ঘন পানি পান করাসহ বিশ্রামে থাকতে হবে।
এদিকে, জেলার লাগাতার তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে ভাবছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। সেজন্য সকলেই সতর্ক থাকতে হবে। জেলার মানুষকে সচেতন করতে তাদের কাছে আমরা দ্রুত কিছু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কতা বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি দ্রুত আবহাওয়া অফিসে খোঁজখবর নিয়ে সাধারণ মানুষকে ম্যাসেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। লোকজন যেন প্রয়োজন ছাড়া এই রোদে ঘর থেকে বের না হন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন ইত্যাদি। জেলায় প্রতিদিন তাপপ্রবাহ বাড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত