আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাগুরা সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে বুধবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১২ জন। এ ছাড়া সাতটি দোকান ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ছয়জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তিনজনকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দাউদ মোল্লা ও আতিয়ার মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে বুধবার রাত আটটার দিকে আতিয়ার মোল্লার ভাতিজা মহিদুলের উপরে হামলা করে দাউদ মোল্লার লোকজন। এরই প্রতিবাদে আতিয়ার মোল্লার লোকজন ওই রাতেই দাউদ মোল্লার উপর হামলা করে তাকে আহত করে। গুরুতর আহত দাউদ মোল্লাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে মোজাম মন্ডল ও নিজাম নামে দু’জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মিলন বিশ্বাসকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দাউদ মোল্লাকে ঢাকাতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রুহুল আমিন বলেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফিরতে রাত তিনটা বেজে যায়। আগুনে একটি মুদি দোকান, মুদির দোকানের পাশে অবস্থিত একটি গোয়ালঘর ও তার একটু দূরে একটি বসতবাড়ি ও বসতবাড়িতে থাকা মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।

আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়া ইসহাক মোল্লা বলেন, এলাকার মারামারির খবরে দোকান বন্ধ করে ফেরার পরপরই দাউদ মোল্লার লোকজন আমাদের দোকানে অগ্নিসংযোগ করে।

মাতবর আতিয়ার মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বুধবার বিকালে দাউদ মোল্লার লোকজন আমার ভাতিজা মহিদুলের উপর হামলা করে ও রাতে বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে আহত আমাদের কয়েকজনকে মাগুরা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে দাউদ মোল্লা আহত হয়ে ঢাকাতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, দুইটি পক্ষের সামাজিক আধিপত্যকে বিস্তার করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশি মোতায়ন করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই