তীব্র গরমে বগুড়া কালেক্টরেট পাবলিক স্কুলের ২২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রবিবার দুপুরের পর এ ঘটনায় সাড়ে ৩টায় বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অসুস্থ হওয়া সকল শিক্ষার্থীই মেয়ে। তবে সবাই এখন ভালো আছেন।
জানা গেছে, স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোজাইফার আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। রবিবার সে বিদ্যালয়ে এসেছিল। কিন্তু টিফিনের পর বিদ্যুৎ ছিল না। এসময় অনেক গরম থাকায় প্রথম শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয় সে। এসময় তাকে দেখে তার অন্যান্য সহপাঠীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে পর্যায়ক্রমে ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির প্রায় ২২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়।
৭ম শ্রেণির অসুস্থ এক শিক্ষার্থী বলেন, বাথরুমে গিয়ে দেখি ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মেয়ের মাথায় পানি দিচ্ছে। এটা দেখে আমারও খারাপ লাগে। তখন আমিও পানি দেই মাথায়। এসময় ওই শিক্ষার্থীর বাবা তাকে বাসায় নিয়ে যান।
প্রথম অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থী রোজাইফার বাবা বদরুল আলম নিজেই স্কুলে এসে তার মেয়েকে শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। বদরুল আলম জানান, রোজাইফার শ্বাসকষ্ট ছিল। আজ টিফিনের পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বেলা তিনটার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসি। বর্তমানে রোজাইফাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শে তাকে স্যালাইন পুশ করা হচ্ছে।
বগুড়া কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল মামুন সরদার জানান, টিফিনের পর তারা ক্লাসে থাকলেও বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্লাসে গরম লাগছিল। তারপর হঠাৎ রোজাইফার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তার শ্বাসকষ্ট দেখে অন্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এসময় ক্লাসের অনেক কয়জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন এবং সবাই সুস্থ আছেন।
এদিকে, বগুড়া জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই