নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলা উপজেলায় আকস্মিক ঝড়ে গাছপালা এবং বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে শুরু হওয়া ওই ঝড় প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে শহর ও গ্রাম এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে বিছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়িঘর ও দোকানপাটেরও ক্ষতি সাধিত হয়।
সৈয়দপুর শহরের মধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সাহেবপাড়া, বাঁশাবড়ি আমিন মোড় এলাকায়। ওই এলাকায় শতবর্ষ পুরাতন এক বিরাট গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি দোকান, হোটেল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি করে। এছাড়া আশপাশ এলাকা ও বিভিন্ন মহল্লাতেও গাছপালা ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয় আকস্মিক ওই ঝড়ে। এতে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়ে।
ওই কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার কামারপুকুর, বাঙালিপুর, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি এবং কয়েকটি ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে।
এদিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে তিনশ পরিবারের ঘর বাড়ি। ১০ মিনিটের ঝড়ে তিনশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ঝড়ের দাপটে টিনের চাল উড়ে গেছে গাছ চাপা পড়ে আহত ৪ জন। উপরে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোট খাতা, কাকিনা এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যায় এ কালবৈশাখী ঝড়।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর ই আলম সিদ্দিক বলেন, আকস্মিক ঝড়ের কারণে সৈয়দপুর উপজেলায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গাছপালা কাঁচা ঘরবাড়ি ও উঠতি ফসলের বেশ কিছু ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতি নিরুপনের চেষ্টা করছি।
ডিমলা খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার জানান, ঝড়ে বাইশপুকুর গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত খবর পেয়েছি শতাধিক পরিবারের টিন ও বাঁশের কাঁচা ঘর ঝড়ে উপড়ে গেছে। আরও বেশ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা উপরে পড়েছে। ঝড়ে গৃহপালিত পশুরও মৃত্যু হয়েছে বলেন তিনি।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা জানান, নাউতারা ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নে ঝড়ে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্তের খবর পেয়েছি, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ