কুষ্টিয়া কারাগার ভেঙে ১০৪ জন আসামি পালিয়ে গেছে। পলায়নরত আসামিদের ঠেকাতে গিয়ে তিন কারারক্ষী আহত হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেলার আবু মুসা জানান, মোট ১০৪ জন কারাবন্দী পালিয়ে গেছেন কারাগারের ফটক ভেঙে। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার আলোচিত ১০ টুকরো করে হত্যা মামলার আসামি কিশোর গ্যাং লিডার সজিবও আছে। ভেতর থেকে ১০ টুকরো করে হত্যা মামলার আসামি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এসকে সজিব কারাবন্দীদের ফটক ভেঙে ফেলতে সংগঠিত করেন।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেক বলেন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে জামিন পাওয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বের হচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে বের হতে অন্য আসামিরাও হট্টগোল শুরু করেন। প্রায় দুই শতাধিক কারারক্ষী ভেতর থেকে একযোগে ধাক্কা দিয়ে প্রধান ফটক ভেঙে ফেলে।
এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি চালান। তবে এর আগেই আসামিরা পালিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কারাগার থেকে বের হয়ে কাপড়ে মুখ ঢেকে তারা বিভিন্ন সড়ক দিয়ে পালিয়ে যান। এসময় বাধা দিতে গিয়ে ৩ কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর সেনা সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তারা পুরো জেলখানা এলাকা ঘিরে নিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে কারাবন্দীদের মাইকে শান্ত হতে বললে আসামিরা শান্ত হন।
কুষ্টিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুবুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে। কারাবন্দীদের শান্ত হতে বলেছি। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অরাজকতা চলছে। সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য কুষ্টিয়ায় এসেছে। খুব দ্রুত পুরো জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। এজন্য তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই