চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে আসামি মোহাম্মদ মামুনকে (৩০) মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ মামুন দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন হাসু জানান, ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অস্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে আসামি মোহাম্মদ মামুনসহ চারজন অপহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে ২০ লাখ টাকা। মুক্তিপণের টাকা প্রদান না করে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র্যাবকে জানায়। অপরহণ ঘটনার দুই দিন পর মাহফুজ আলম সজিবের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির ঢাকনা খোলা সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মো. আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মোহাম্মদ মামুন।
মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থানায় চার্জশিট প্রদান করেন। মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মোহাম্মদ মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোঃ মামুনকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী। মামলায় রায়ে আসামিকে আরো ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম