বগুড়ায় কোনো সমিতি, সংগঠন বা জায়গা জমি দখলে কোনো নেতাকর্মী সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের নবাববাড়ি সড়ক দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ আগস্ট স্থানীয় পত্রিকায় বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতির ৫ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠনের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বিএনপি নেতা ডা. মামুনুর রশিদকে সদস্য করা হয়েছে। যা তাকে না জানিয়ে করা হয়েছে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের লোকজন বগুড়ার বিভিন্ন সমিতি, সংগঠন, পেশাজীবী পরিষদ, বিভিন্ন স্থানে জায়গা জমি, হিন্দুদের বাড়িঘর দখল করেছে। বিএনপি দখল রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যদি কেউ করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য হওয়ার বিষয়টি ডা. মামুনুর রশিদ মিঠু সাজানো বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুল নিজেই করেছেন। আমাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। তাই এই কমিটিতে আমাকে সদস্য করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অনুমতি ব্যতিত।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে, যদি কেউ দখলের মত কোনো কাণ্ডে নিজেকে জড়ায় তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএনপি অতীতে কোনো দখল বাণিজ্যে ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপি নেতা ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আবদুল বাসেত, কেএম খায়রুল বাসারসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
