পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় দুমকি থানাব্রিজ গোলাম সরোয়ার হাফেজি ও নুরানি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত করা এবং মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মাদ্রাসার সামনের সড়কে এ বিক্ষোভ করা হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত তিন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখা এবং শিক্ষকদের মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানান।
জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য নাসির হাওলাদার, দুলাল হাওলাদার, হারুন হাওলাদারসহ কয়েকজন গোপনে একটি কমিটি গঠন করে ২৫ আগস্ট প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষককে মারধর করে চাকরি থেকে পদত্যাগের জন্য জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন। এতে ছাত্র অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফলে ২৭ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পরীক্ষা থাকলেও তা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দুমকি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যেহেতু সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি আমি। তাই আমাকে ছাড়া এই মুহূর্তে কোনও শিক্ষককে অব্যহতি দেওয়া কিংবা নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ