বরিশালের বিনা উদ্ভাবিত আমনের ধানের জাত পরিচিতি, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষন বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ হয়েছে। বাবুগঞ্জের বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এর নিজস্ব হলরুমে প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার পরিচালক (গবেষণা) ড. ইকরাম-উল-হক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুন নাহার। কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন এবং বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার উত্তম ভৌমিক। প্রশিক্ষণে বরিশাল সদর, বাবুগঞ্জ, উজিরপুরের ৫০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের সব এলাকায় বেশি পরিমাণে আমন ধান চাষ করার সুযোগ নেই। তবে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এর আবাদ সর্বোচ্চ এবং সারাবছরের প্রধান ফসল। তাই এখানে ধানের অধিক উৎপাদন পেতে উন্নত জাত বেছে নেয়া দরকার। আর সে ক্ষেত্রে আপনারা বিনা উদ্ভাবিত জাত নির্বাচন করতে পারেন। বরিশাল অঞ্চলের জন্য চাষ উপযোগী জাতগুলো হলো: বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২০ এবং বিনা ধান-২৩। এর মধ্যে বিনা ধান-২০ জিঙ্কসমৃদ্ধ। এছাড়া ক্ষতিকর পোকা বাদামী গাছ ফড়িং প্রতিরোধী। আর বিনা ধান-২৩ বন্যাসহিঞ্চু। জোয়ার ভাটায় চাষযোগ্য। চলতি আমন মৌসুমে এসব জাত ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহায়ক হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম