অবশেষে সমালোচনার মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জাহানারা হক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তানিয়া আক্তার পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। সংস্কারের প্রয়োজনে অন্য মেয়রদের মতো তাকজিল খলিফা অপসারিত হন। তবে ১১জনকে ডিঙ্গিয়ে লাইব্রেরিয়ান থেকে প্রিন্সিপাল বনে যাওয়া তানিয়া ছিলেন বহাল তবিয়তে।
গ্রেফতার হওয়া সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের স্বাক্ষরে তানিয়া আক্তার লাইব্রেরিয়ান হয়েও প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন। আনিসুল হক ওই কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তানিয়া আক্তারের স্বামী তাকজিল খলিফা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্টজন। পাশাপাশি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজের নামও লিখিয়েছেন তিনি। জাহানারা হক হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মায়ের নাম।
৫ আগস্ট দুপুর থেকে তাকজিল খলিফা কাজল পলাতক রয়েছেন। তানিয়া আক্তারকেও ঘটনার পর থেকে আখাউড়ায় দেখা যায়নি। ৫ আগস্ট তাদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
অবশ্য ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে তানিয়া আক্তার আখাউড়ার জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে কাগজে কলমে কর্মরত ছিলেন। অবশ্য তিনি কলেজে আসেননি। তবে শেষ পর্যন্ত সমালোচনার মুখে অসুস্থতার কথা বলে তিনি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার এ তার অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি কাগজ কলেজে পাঠানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, জাহানারা হক মহিলা কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহা. শাহাজাহান মিয়া মারা যান। এরপর কলেজ পরিচালনা কমিটি জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে কোনো প্রভাষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে লাইব্রেরিয়ান তানিয়া আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর নামের তালিকার বোর্ডে তার অবস্থান ১৩। এরপরই রয়েছে অফিস সহকারির নাম।
কলেজ পরিচালনায় আহ্বায়ক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক মো. ইলিয়াস মুন্সী বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহির কাছে পদত্যাগ পত্র নিয়ে যাবো। উনার পরামর্শে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল