বেনাপোলে রেজওয়ান হুসাইন নামের এক কলেজছাত্রকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে পোর্ট থানার সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার অপহৃত রেজওয়ানের ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে যশোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। রেজওয়ান পোর্ট বেনাপোল থানার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। মামলার আইনজীবী আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন বেনাপোল পোর্ট থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসান, ওসি তদন্ত খন্দকার শামীম আহমেদ ও এস আই নূর আলম।
মামলার বাদী রিপন হোসেন জানান, রেজওয়ান স্থানীয় বাগআঁচড়া কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্র ছিলো। ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে সে বেনাপোল ভূমি অফিসের পাশে রেজাউলের চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলো। এসময় বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নূর আলম ও অপর একজন মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যায়। তারা রেজওয়ানকে জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। সেখানে উপস্থিত অনেকেই তা প্রত্যক্ষ করেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় গেলে ওসি অপূর্ব হাসান তাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। অন্যথায় সকলকে গুম করা হবে বলে হুমকি দেয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৭ আগস্ট রেজওয়ান নিখোঁজ উল্লেখ করে জিডি করতে গেলে ওসি তদন্ত খন্দকার শামীম আহমেদ জিডি লেখা সঠিক হয়নি বলে কাগজ ফেরত দেন। এরপর নিজের মনগড়া একটা জিডি লিখে তা লিপিবদ্ধ করেন। ওই ঘটনার পর থেকে অদ্যাবধি রেজওয়ানের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। রেজোয়ানের পরিবারের ধারণা, পুলিশ আটকের পর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। ওইসময় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় মামলা করতে পারেনি তার পরিবার। বর্তমানে প্রেক্ষাপট সুষ্ঠু ন্যায় বিচার পেতে আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেছেন রেজওয়ানের পরিবারের দাবি আটকের প্রথম থেকে সর্বশেষ খোঁজখবর এসআই নুর আলম সব জানেন।
মামলার বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি সুমন ভক্ত জানান, যশোর আদালতে বেনাপোল পোর্টথানার সাবেক ৩ পুলিশ কর্মকর্তার নামে মামলা হয়েছে খবরটি তিনি জেনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন কাগজ হাতে পাননি। কাগজপত্র হাতে পেলে পরবর্তীতে করণীয় ঠিক করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ