ফেনীতে বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তবে ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে। প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামছে খুবই ধীর গতিতে। বন্যার সময় যারা বাড়ি ছেড়েছেন, তারা বাড়িতে ফেরা শুরু করেছেন।
বাড়ি ফেরা মানুষরা জানান, তাদের সাজানো সংসারের সব কিছু বন্যা ধ্বংস করে দিয়েছে। কারও বাড়িতেই বর্তমানে কোনো ফার্নিচার ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার উপযোগী নেই। বাড়ির কোনো লেপ-তোষক আর ব্যবহার করা যাবে না।
এখনও শহরের পেট্রোবাংলা, মধুপুর, বিরিঞ্চিসহ বিভিন্ন পাড়া পানিতে তলিয়ে আছে। সদর উপজেলার মোটবি, ধলিয়া, পাঁচগাছিয়া, ফাজিলপুর, ধর্মপুর ও ফরহাদ নগরের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে।
দাগনভূঞার পূর্বচন্দ্রপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি থেকে এখনো মুক্তি পায়নি। অন্যান্য উপজেলার নিম্নাঞ্চল এখনো পানির নিচে রয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বন্যা চলাকালীন বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্যোগের শিকার হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই