বগুড়ায় টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ হাসানের (২০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে কয়েকজন বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সৌরভ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে তারা সটকে পড়েন। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে নিহতের স্বজনদের ধারণা পূর্ব কোনো বিরোধের জেরে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এ ঘটনায় রবিবার বিকালে নিহতের পিতা আব্দুল মমিন সাকিদার বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সৌরভ হাসান বগুড়া সদরের ঠেঙ্গামারা তালুকদারপাড়ার আবদুল মোমিনের ছেলে। সৌরভ টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি শনিবার রাত ১০টার দিকে ঠেঙ্গামারা এলাকায় একটি দোকানে একই প্রতিষ্ঠানের সহপাঠী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় তার কয়েকজন বন্ধু সেখানে আসেন। তারা সৌরভকে ডেকে নিয়ে যান।
আধা ঘণ্টা পর বন্ধুদের একজন ফোনে স্বজনদের জানান, সৌরভ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে স্বজনরা ওই হাসপাতালে গিয়ে সৌরভের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। সেখানে সৌরভের বন্ধুদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে সৌরভের মাথার পেছনে ও শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাতে চিহ্ন ও বন্ধুদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। স্বজনরা বলছেন, পূর্ব কোনো বিরোধের জেরে বন্ধুরা তাকে ডেকে নিয়ে আঘাতে হত্যা করেছে। কারণ মহাসড়কের সম্ভাব্য স্থানে রক্ত দেখা গেলেও দুর্ঘটনার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মইনুদ্দিন জানান, সৌরভের মাথা ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথা থেতলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সৌরভের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা