কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টাকালে গোপন আস্তানা থেকে নারী ও শিশুসহ ১২ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পাচারকাজে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লম্বরী সাকিনস্থ পর্যটন বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিন নারী ও নয় শিশু রয়েছে। উদ্ধার রোহিঙ্গারা সকলে উখিয়া বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। আটককৃতরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিন লম্বরী এলাকার মো. কাশেমের ছেলে নুরুল আমিন (২৫), একই এলাকার কেফায়েত উল্লাহ ছেলে নুরুল আফসার (১৯) হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (২০) ও নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা এলাকার রফিক সরকারের ছেলে মো. আল আমিন (২৪)।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, সোমবার ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী সাকিনস্থ পর্যটন বাজার থেকে ৫০০গজ দূরে ফয়সালে লিজকৃত জায়গা সুপারি বাগানের ভিতর সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে বেশ কিছু লোকজনকে জড়ো করা হয়েছে এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে পাচারকাজে জড়িতরা। এসময় ধাওয়া দিয়ে চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে ফয়সালের সুপারি বাগানে তল্লাশি চালিয়ে ৩ নারী ও ৯ শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, উদ্ধার করা ভুক্তভোগীদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্তদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ