বগুড়ার শেরপুর পৌর উত্তরবাহিনী মহাশ্মশানে সমাধি দেওয়া মৃত এক নারীর মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের ছেলে রঞ্জিত সরকার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। মৃত ওই নারীর নাম গোলাপী সরকার (৫৩)। তিনি শহরের উত্তরসাহা এলাকার লক্ষ্মীতলা মহল্লার সুরেশ সরকারের স্ত্রী।
জানা গেছে, পৌরশহরের করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত উত্তরবাহিনী মহাশ্মশান। পৌরসভা থেকে এই শ্মশানটির দেখভাল করা হয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্মশানের ভেতরে ঢোকে একদল দুর্বৃত্ত। পরে সমাধি খুঁড়ে মৃত গোলাপী সরকারের মাথা কেটে চুরি করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন শুক্রবার সকালে এমন দৃশ্য দেখতে পান নৈশপ্রহরী প্রমোদ সরকার। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারকে জানান তিনি। এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
নিহতের স্বামী সুরেশ সরকার বলেন, বিগত ১৬ দিন আগে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্ত্রী গোলাপী সরকার। পরে তার মৃতদেহ মহাশ্মশানে সমাধি দেওয়া হয়। কিন্তু সমাধি খুঁড়ে লাশের মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এভাবে লাশের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হবে তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। পরে সমাধি ফের মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।
ওই শ্মশানটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রমোদ সরকার জানান, শেরপুর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও নাটোরের সিংড়া উপজেলা অনেকের লাশ এই মহাশ্মশানে সৎকারের জন্য নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শ্মশানের সমাধি থেকে লাশের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ইতোপূর্বে কখনও ঘটেনি।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুয়ানী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ