কুষ্টিয়া সরকারি শিশু পরিবার (বালক) থেকে শিক্ষার্থী নিখোঁজ, শিক্ষার্থীদের অমানবিক নির্যাতন ও নানা অনিয়মের অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন ওই প্রতিষ্ঠানের উপতত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াস হোসেন।
এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান সরেজমিনে শিশু পরিবার পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে কী দেখলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তৌফিকুর রহমান বলেন, শিশুদের অভিযোগগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। এখন কাগজে-কলমে যাচাই করে দেখা হবে। এছাড়াও নিখোঁজ রাইয়ান হোসেন রিজভীকে (১২) খুঁজে বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
কমিটি গঠন ও দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ। তিন সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, শুভংকর ভট্টাচার্য ও প্রবেশন অফিসার আতাউর রহমান। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আব্দুল লতিফ জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ২ নভেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষার্থী রিজভী ও নাহিদ প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে যান বলে দাবি করেন উপতত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবাদ গড়ে তোলে প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরা।
নিখোঁজ রিজভীর মামা লোকমান হোসেন শিশুদের বিক্ষোভ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, 'গত ৪ নভেম্বর আমার মোবাইল ফোনে খুলনা থেকে একটি কল আসে। জানায়, ট্রেনের ভেতরে রিজভীর ব্যাগ পাওয়া গেছে। এরপর আমরা বিষয়টি উপতত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামানকে জানায়। আমাদের চাপেই তিনি দুই দিন পর গত ৪ নভেম্বর থানায় জিডি করেন। আমরা দ্রুত রিজভীর সন্ধান চাই।
বিডি প্রতিদিন/এএম